নোয়াখালীতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, থানায় জিডি দায়ের

নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানায় সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু ও একেএম ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু, যিনি নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সদস্য এবং দ্য ডেইলি পোস্টসময়ের কণ্ঠস্বর পত্রিকার নোয়াখালী জেলা প্রতিনিধি, থানায় জিডি করেন (জিডি নং ৬০৫/০৯.০১.২০২৫)। একই অভিযোগের শিকার একেএম ফারুক হোসেনও প্রেস ক্লাবের সদস্য এবং দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি।

নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সভাপতি বখতিয়ার শিকদার বলেন, “আমি ফেসবুক ব্যবহার করি না। আমার নাম ও ছবি ব্যবহার করে ফেক আইডি থেকে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। এই বিষয়ে আমি আগেই থানায় একটি জিডি করেছি।”

সাংবাদিক শাহাদাৎ বাবু জানান, “ফেক আইডি থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার ছবি ব্যবহার করে আপত্তিকর ভিডিও ও মন্তব্য প্রচার করা হয়েছে। এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মানহানিকর। আমি পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছি এবং এই অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি।”

শাহাদাৎ বাবু আরও জানান, তার ভাইয়ের বাড়িতে চুরি হওয়া স্বর্ণ ও টাকার বিষয়ে তদন্ত চলছিল। চোরের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, একটি স্বর্ণের দোকানে চোরাইকৃত স্বর্ণ বিক্রি করা হয়। সেই দোকানদারের কাছে স্বর্ণ বিক্রির বিষয়টি স্বীকারোক্তির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। তদন্তের সময় দোকানদার ও তার সহযোগীরা বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে অপপ্রচার চালায়।

সাংবাদিক একেএম ফারুক হোসেন বলেন, “আমরা চুরি হওয়া স্বর্ণ উদ্ধারে কাজ করছিলাম। কিন্তু একটি অসাধু চক্র ভিডিও ধারণ করে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আমাদের সম্মানহানি করেছে। আমরা আইনি প্রতিকার চাই।”

অপপ্রচারের পেছনে দায়ী চক্রকে খুঁজে বের করতে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

Post a Comment

0 Comments