স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিশু স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে প্রতিদিন বাসার পাশের মসজিদে নামাজ পড়তে যায়। গত মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেলে আসরের নামাজের সময়ও সে মসজিদে যায়।
নামাজ শেষে মুসল্লিরা চলে গেলে নুরজ্জামান প্রস্রাব করার কথা বলে শিশুটিকে কৌশলে মসজিদের শৌচাগারে ডেকে নেয়। এরপর সেখানে তাকে বলৎকার করে।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী শিশু তার এক প্রতিবেশী মামাকে বিষয়টি জানায়। সে বলে, "নুরজ্জামান আমাকে খুব ব্যথা দিয়েছে, যেন আর কখনো এমন না করে।" এরপরই ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়।
ঘটনার পর গত শুক্রবার (৮ মার্চ) জুমার নামাজ শেষে স্থানীয় মাতব্বররা অভিযুক্ত নুরজ্জামানকে চড়-থাপ্পড় দিয়ে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করে। তবে, তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক শিশুকে বলৎকারের অভিযোগ রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
কবিরহাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মঞ্জুর আহমেদ বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ অভিযুক্ত নুরজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে। তবে, ভুক্তভোগী পরিবার মামলা করতে রাজি না হওয়ায় ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
0 Comments