শিবির কর্মীর কবরে মিলল বুলেট, ১১ বছর পর মরদেহ উত্তোলন


নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ১১ বছর পর মতিউর রহমান সজীব (১৭) নামে এক শিবির কর্মীর মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে বসুরহাট পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নয়ন হাজী বাড়ির পারিবারিক কবরস্থান থেকে আদালতের নির্দেশে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

সজীব স্থানীয় একটি মাদরাসার দাখিল পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং ইসলামী ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি মৃত আবদুল রহমানের ছেলে।

কবর থেকে বুলেট উদ্ধার

উত্তোলনের সময় কবরের ভেতরে একটি বুলেট সদৃশ বস্তু পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, "আদালতের নির্দেশে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। কবর থেকে পাওয়া বুলেট সদৃশ বস্তুটি পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে।"

মামলার পটভূমি

২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে আওয়ামী লীগ ও জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে সজীবসহ চার শিবির কর্মীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। উপজেলা জামায়াত এ ঘটনায় সাবেক মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলসহ ১১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

আদালতের নির্দেশে পরে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়। মামলায় আসামি করা হয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের সাবেক কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদেরও।

মামলার তদন্তের অংশ হিসেবে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবেল উদ্দিন ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মঈনুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

পরবর্তী পদক্ষেপ

কবর থেকে উদ্ধার হওয়া বুলেট সদৃশ বস্তু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও অন্যান্য আলামতের ভিত্তিতে তদন্তে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

Post a Comment

0 Comments