নোয়াখালীর কবিরহাটে বৃদ্ধা ফিরোজা বেগম (৭৫) হত্যাকাণ্ডের তিন মাস পর সন্দেহভাজন প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। গ্রেপ্তার হওয়া আনোয়ার হোসেন সুমন (৩৫) ও সালাউদ্দিন বেলাল (৩৬) কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) রাতে র্যাব-১১, সিপিসি-৩ এর নোয়াখালী কোম্পানি কমান্ডার (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী পুলিশ সুপার মো. গোলাম মোর্শেদ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ধানশালিক ইউনিয়নের কাবলীর মোকাম বাজার এলাকা থেকে র্যাবের একটি দল তাদের গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জুন ভোরে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পঞ্চায়ের বাড়ির পুকুর পাড় থেকে ফিরোজা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই এলাকার মৃত আবু বক্কর ছিদ্দিকের স্ত্রী ছিলেন।
স্থানীয়দের মতে, ফিরোজা বেগম স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ঘরে একাই থাকতেন এবং প্রতিদিনের মতো সেদিনও নিজ শয়নকক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে তার বড় ছেলে রফিক উল্যাহ ঘুম থেকে উঠে মায়ের ঘরের দুটি দরজা খোলা দেখতে পান। পরে তার ভাগনে ঘরের সিঁধ কাটা দেখতে পেয়ে বিষয়টি জানান। এরপর পুকুর পাড়ে বৃদ্ধার পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে খবর দেন।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, নিহত ফিরোজা বেগম সব সময় হাতে স্বর্ণের বালা, গলায় হার, কানে দুল ও হাতে আংটি ব্যবহার করতেন। মরদেহের পাশে তার ব্যবহৃত কোনো স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়নি এবং কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার সময় তার কানে রক্তাক্ত জখম হয়েছিল। তাদের ধারণা, স্বর্ণালংকার লুট করতেই দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করেছে।
র্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভিকটিমের মেজো ছেলে কবিরহাট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর র্যাব তদন্ত শুরু করে এবং মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দুই সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।”
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের কবিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
0 Comments