খাদ্য অধিকার ও পুষ্টি নিরাপত্তায় নীতিমালা বাস্তবায়ন ও আইন প্রণয়নের আহ্বান

 

নোয়াখালীতে খাদ্য অধিকার ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিষয়ে নীতিমালা বাস্তবায়ন ও আইনি কাঠামো প্রণয়নের আহ্বান জানিয়ে এক অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘রাইট টু ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন’ প্রকল্পের আওতায় খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক-খানি বাংলাদেশ এই সভার আয়োজন করে। সভাটি পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক-প্রাণের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় অংশগ্রহণ ও আলোচনার মূল বিষয়

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব রেজাউল করিম সিদ্দিকি। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ।

সভায় বক্তারা বলেন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নীতিমালার যথাযথ বাস্তবায়ন এবং কার্যকর আইন প্রণয়ন জরুরি।

জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন—

“খাদ্য অধিকার সংবিধানে সরাসরি উল্লেখ না থাকলেও এটি মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় এর বাস্তবায়ন সম্ভব।"

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) তাসলিমুন নেসা বলেন—

“হাইব্রিড জাতের সম্প্রসারণ কমিয়ে প্রাকৃতিক প্রজননের ওপর জোর দিতে হবে। বাজার সিন্ডিকেট রোধে উৎপাদন পর্যায়ে প্রণোদনা বাড়ানো প্রয়োজন।"

খাদ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিত উদ্যোগের আহ্বান

বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্কের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম সিদ্দিকি বলেন—

“সরকারি প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সংস্থা ও সুশীল সমাজকে একত্রিত করে খাদ্য অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে হবে।"

প্রাণের প্রধান নির্বাহী নুরুল আলম মাসুদ বলেন—

“খাদ্যকে দানের পরিবর্তে নাগরিক অধিকার হিসেবে নিশ্চিত করতে হবে।"

সভায় বক্তারা খাদ্যদ্রব্যের অনিয়ন্ত্রিত মূল্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বাজার মনিটরিং জোরদার করার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

প্রস্তাবিত কার্যক্রম

সভায় বক্তারা নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দেন—

✅ খাদ্য অধিকারকে আইনিভাবে সুরক্ষা দেওয়া

✅ হিমাগার স্থাপন ও কৃষিপণ্যের সংরক্ষণ ব্যবস্থা উন্নয়ন

✅ বাজার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা

✅ উৎপাদন পর্যায়ে কৃষকদের জন্য সরকারি প্রণোদনা বৃদ্ধি

উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—

• অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইসমাইল
• সরকারি কর্মকর্তা, নাগরিক সংগঠনের প্রতিনিধি, কৃষক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সদস্যরা

সভায় অংশগ্রহণকারীরা খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার টেকসই নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যকর ভূমিকার ওপর গুরুত্ব দেন।