Noakhali / নোয়াখালী
অধ্যক্ষ লাঞ্ছিতের ঘটনায় আলোচনায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা মামুন
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা থাকাকালীন মামুন নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে তিনি সশস্ত্র মিছিল নিয়ে আলীপুর রোডে প্রবেশ করেন এবং পুলিশের সার্কেল অফিসে হামলা চালান। দুর্বৃত্তরা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে সিসিটিভি মনিটর, কম্পিউটারসহ ইলেকট্রনিক সামগ্রী ভাঙচুর করে এবং অফিসকক্ষে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায় তারা।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে বেগমগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। মামুন শিক্ষার্থীদের মিছিলে অংশ নিতে বাধ্য করতেন এবং তার নির্দেশ অমান্য করলে শারীরিক নির্যাতন চালাতেন। ফলে তিনি ক্যাম্পাসে আতঙ্কের নাম হয়ে ওঠেন।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে এক শিক্ষার্থীর স্থানান্তর ফরমে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানানোয় মামুন কলেজ অধ্যক্ষ মঞ্জুরুল হককে ধাওয়া করে লাঞ্ছিত করেন। পরবর্তীতে চৌমুহনী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সালের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা করা হয়, তবে অধ্যক্ষ তখন ভয়ে কোনো আইনি পদক্ষেপ নিতে পারেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, মামুনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে, তবে একেক মামলায় ভিন্ন ঠিকানা ও বয়স ব্যবহার করায় পুলিশের পক্ষে সঠিক সংখ্যা নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দীন মোহাম্মদ বলেন, "মামুনের বিরুদ্ধে পুলিশের সার্কেল অফিসে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের অভিযোগে একটি মামলা রয়েছে, যার সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য মামলাগুলোর বিষয়েও তদন্ত চলছে।"
অভিযুক্ত মামুন বর্তমানে কারাগারে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
0 Comments