নোয়াখালীতে ছাত্রলীগের হামলায় তিন সমন্বয়ক আহত, আটক ২

 

নোয়াখালী সদর উপজেলায় ছাত্রলীগের হামলায় তিন সমন্বয়ক আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্র সমন্বয়ক মেহেদী হাসান সীমান্ত (২৪), স্থানীয় ছাত্র সমন্বয়ক মামুনুর রশীদ তুষার (২৬), এবং হাসান আহম্মেদ গালিব (২৬)।

শনিবার (৪ জানুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে মাইজদীর মধুসূদনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুর রহমান খান জানান, মাইজদীর হকার্স মার্কেটের একটি দোকান নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। শনিবার সন্ধ্যায় দোকানটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। বিষয়টি মীমাংসার জন্য সমন্বয়করা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে আলোচনা করতে গেলে, কেউ তাদের ছবি তুলে ফেসবুকে "চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা পড়েছে" মর্মে বিভ্রান্তিকর স্ট্যাটাস পোস্ট করে।

পোস্টটি ছড়িয়ে পড়লে সমন্বয়করা সত্যতা যাচাই করতে বিরোধপূর্ণ পক্ষের সাথে দেখা করতে যান। এ সময় কিছু দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালায়। স্থানীয় শিক্ষার্থীরা আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় বাপ্পী (২৮) ও ফাহাদ (৩০) নামে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

নোবিপ্রবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আল জকি হোসেন বলেন, "হামলাকারীরা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।"

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, "যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।"