বিকাশের টাকা চুরির বিরোধে ছুরিকাঘাতে অ্যাম্বুলেন্স চালক নিহত

 

বিকাশের টাকা চুরির বিরোধে ছুরিকাঘাতে অ্যাম্বুলেন্স চালক নিহত

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার চারদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক অ্যাম্বুলেন্স চালক মারা গেছেন। ঘটনার পর অভিযুক্ত হৃদয়কে নিহতের স্বজনেরা গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

নিহতের নাম মো. জামাল হোসেন (৩৩), তিনি নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধুসূদনপুর গ্রামের ফরিদ হাজী বাড়ির রফিক উল্যার ছেলে।

গতকাল শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে নোয়াখালী সদর উপজেলার হাসপাতাল রোডে ট্রাস্ট ওয়ান হাসপাতালের সামনে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

অভিযুক্ত মোহাম্মদ হৃদয় (২২), নোয়াখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধুসূদনপুর গ্রামের গৌরি মেকারের বাড়ির রায়হানের ছেলে, বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কিছুদিন আগে হৃদয় এক অ্যাম্বুলেন্স চালকের বিকাশ অ্যাপ থেকে টাকা চুরি করেছিল। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে মাইজদী শহরের বালুর মাঠে সালিশ বসে এবং আপোষ-মীমাংসা হয়। কিন্তু তখন জামালের সাথে হৃদয়ের তর্কাতর্কি হয় এবং একপর্যায়ে জামাল তাকে থাপ্পড় মারে। এই ঘটনার জের ধরে ১ অক্টোবর রাতে হৃদয় হাসপাতাল রোডে জামালের গতিরোধ করে তাকে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা জামালকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে শুক্রবার রাতে তিনি মারা যান।

পুলিশ আরও জানায়, জামালের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ জনতা হৃদয়কে ধরে গণপিটুনি দেয় এবং পুলিশে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ হৃদয়কে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কৃঞ্চ মোহন জানান, নিহত জামাল ও অভিযুক্ত হৃদয়ের বাড়ি পাশাপাশি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সোহেলী আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে হৃদয় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

Post a Comment

0 Comments