চাঁদাবাজির অডিও ক্লিপ ফাঁস, যুবদল নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা যুবদলের স্থগিত কমিটির সদস্য সচিব সাহেব উদ্দিন ওরফে রাসেলকে চাঁদাবাজির অভিযোগে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

রোববার (৫ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। রাসেল বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের অনুসারী।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চাঁদাবাজির একটি অডিও ক্লিপ ফাঁস হওয়ায় এবং প্রমাণের ভিত্তিতে সাহেব উদ্দিন রাসেলকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দল বহিষ্কৃত নেতার কোনো অপকর্মের দায় নেবে না। যুবদলের নেতাকর্মীদের তার সঙ্গে কোনো সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট দিন আগে উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ঠিকাদার খন্দকার মুকুলের কাছে চাঁদা দাবির একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। কেন্দ্রীয় যুবদল বিষয়টি তদন্ত করে রাসেলকে বহিষ্কার করে।

তবে সোমবার সকালে সেনবাগ দক্ষিণ বাজারে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন সাহেব উদ্দিন রাসেল। তিনি চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, "উপজেলায় গ্রুপিং রাজনীতি চলছে। মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানাই।"

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, "কেন্দ্রীয় যুবদল একটি অডিও ক্লিপের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে।"

Post a Comment

0 Comments