দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে মোটরসাইকেল শোডাউন করার অভিযোগ উঠেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের বিরুদ্ধে। এ কারণে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভা থেকে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে সুন্দলপুর ইউনিয়নের রাজুরগাঁও হয়ে চাপরাশিরহাট পর্যন্ত শোডাউন করেন আবেদ। শোডাউনে অর্ধশতাধিক মোটরসাইকেল অংশ নেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়কের দায়িত্ব পান বিএনপি নেতা আবেদ। এ পদ পাওয়ার পর থেকে গত কয়েক দিন ধরে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলায় বিভিন্ন মিছিল ও শোডাউনের আয়োজন করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে একইভাবে শোডাউন করে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে যান আবেদ ও তার সমর্থকরা। এতে গ্রামীণ সড়ক ও বাজার এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হন।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা বিএনপির এক নেতা, নাম প্রকাশ না করার শর্তে, জানান, "দলের কেন্দ্র থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে, চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো বাহন নিয়ে শোডাউন করা যাবে না। গত ৮ সেপ্টেম্বর দলের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অথচ বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ তা অমান্য করেছেন। সিনিয়র নেতাদের এমন আচরণে তৃণমূলে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াবে এবং দলের শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হবে।"
তবে মোটরসাইকেল শোডাউনের অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির সহ-পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদ বলেন, "আমরা শুধু পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে গিয়েছি। আমাদের নেতাকর্মীরা ব্যক্তিগতভাবে পূজামণ্ডপে যাওয়ার জন্য মোটরসাইকেল ব্যবহার করেছে। এটি কোনো শোডাউন নয়। দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে আমরা শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়েছি।"
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, "এ বিষয়ে পরে কথা বলব।"
0 Comments